সৌদি-ইরান বিভেদের বরফ কি অবশেষে গলছে?

0 274

সৌদি আরবের সঙ্গে ইরানের সম্পর্কে ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে বলে খবর দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির চিফ অব স্টাফ মাহমুদ ওয়ায়েজি। তিনি বলেছেন, সৌদি আরবের মতো আঞ্চলিক দেশগুলো এখন একথা উপলব্ধি করেছে যে, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার জন্য আঞ্চলিক সহযোগিতার বিকল্প নেই।

মাহমুদ ওয়ায়েজি তেহরান থেকে প্রকাশিত দৈনিক এতেমাদ’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তেহরান-রিয়াদ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে বলেন, অতীতে সৌদি আরবের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ ছিল। কিন্তু মার্কিন সরকারের উসকানিমূলক আচরণের কারণে এ সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

কিন্তু এখন সৌদি আরবসহ অন্যান্য আরব দেশ আমেরিকার বিভেদ সৃষ্টির এই নীতির স্বরূপ উপলব্ধি করতে পেরেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। ইরানের প্রেসিডেন্টর দপ্তর প্রধান ওয়ায়েজি বলেন, আঞ্চলিক দেশগুলো একথা বুঝতে পেরেছে যে, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে মতপার্থক্য ও সংঘাত পরিহার করতে হবে এবং ইরান বহুদিন ধরে তাদেরকে এ কথাই বুঝিয়ে এসেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ
ইরানের প্রতিবেশী আরব দেশগুলো আমেরিকার বিভেদ সৃষ্টির পদক্ষেপগুলোর ব্যাপারে তাদের নীতিতে পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন মাহমুদ ওয়ায়েজি। তিনি বলেন, সৌদি আরবসহ আরো কিছু দেশ মধ্যপ্রাচ্যে নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসার যে আগ্রহ দেখিয়েছে তাতে এ অঞ্চলের ব্যাপারে মার্কিন উসকানিমূলক নীতি ব্যর্থ হবেই।

ইরানের এই শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা জানান, তার দেশ সৌদি আরবসহ সবগুলো আঞ্চলিক দেশকে আলোচনায় বসার ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ সবগুলো দেশকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন যে, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার একমাত্র উপায় উত্তেজনা প্রশমন ও পারস্পরিক সহযোগিতা শক্তিশালী করা।

Leave A Reply

Your email address will not be published.