ভারতের প্রতিটি ইটের জবাব আমরা পাথর মেরে দিবো: নরেন্দ্র মোদীকে ইমরান খান

0 653
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, ”আযাদ কাশ্মীরে পদক্ষেপ নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের। আমাদের কাছে তথ্য আছে এবং আমরা এরই মধ্যে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির দুটি সভা করেছি। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী পুরোপুরিভাবে অবহিত।” 
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান                                                                                                                                গতকাল (বুধবার) আযাদ জম্মু-কাশ্মীরের পার্লামেন্টে বিশেষ অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এসব কথা বলেন ইমরান খান। তিনি বলেন, পাকিস্তানের ভেতরে ভারতের যেকোনো পদক্ষেপের শক্তিশালী পাল্টা জবাব দেবে পাকিস্তান। ভারতের এইসব কর্মকান্ড কাশ্মীরেই শেষ হবে না। এই ঘৃণাপূর্ণ আদর্শ পাকিস্তানের দিকেও ধাবিত হবে।

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয়ার পর প্রথমবারের মতো গতকাল আযাদ কাশ্মীর পরিদর্শনে যান ইমরান খান। তিনি কাশ্মীরিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে সেখানকার পার্লামেন্টে বক্তব্য রাখেন। ভারতকে উদ্দেশ করে ইমরান খান বলেন, আমাদের তথ্যমতে- পুলওয়ামা হামলার পরে বালাকোটে তারা যেমন পদক্ষেপ নিয়েছিল, তার চেয়ে বেশি ভয়াবহ পরিকল্পনা নিয়েছে এখন। দখলীকৃত কাশ্মীর থেকে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি সরিয়ে দিতে তারা এখন আজাদ কাশ্মীরের দিকে নজর বাড়াতে চায়।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোাদি

 

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ করে ইমরান খান বলেন, “আপনার জন্য এটা আমার বার্তা: আপনি অ্যাকশনে যেতে পারেন এবং এর প্রতিটিরই পাল্টা জবাব দেয়া হবে। সেনাবাহিনী প্রস্তুত। শুধু সেনাবাহিনীই নয়, পুরো জাতি সেনাবাহিনীর পাশাপাশি যুদ্ধ করবে। মুসলিমরা যখন স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছে তখন তারা বিশ্বের বিশাল ও সেরা সেনাবাহিনীকে পরাজিত করেছে। আপনারা যা করবেন তার জবাব দিতে আমরা প্রস্তুত। আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করব। আমরা প্রতিটি ইটের জবাব দেব পাথর দিয়ে।

এর আগে কাশ্মীরিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করতে ইমরান খান আজাদ জম্মু কাশ্মীরের রাজধানী মুজাফফরাবাদে যান। সেখানে তিনি বলেন, “পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে আমি আমার কাশ্মীরি ভাই ও বোনদের সঙ্গে অবস্থান করছি। তিনি সিরিজ টুইটও করেছেন। তিনি বলেন, যদি এ ইস্যুতে যুদ্ধ হয় তাহলে তার জন্য দায়ী থাকবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।”

কাশ্মীরে কারফিউ জারি করে রেখেছে ভারত সরকার

 

তার ভাষায়, আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো, যাদেরকে যুদ্ধ থামানোর জন্য গঠন করা হয়েছিল, তাদের প্রতি আমার বার্তা হলো- যদি যুদ্ধ হয় তাহলে আপনারা দায়ী থাকবেন। তবে ইমরান খান একথা পুনর্ব্যক্ত করেন যে, যুদ্ধ কোনো সমস্যার সমাধান নয়। এতে বরং আরও সমস্যার সৃষ্টি করে। তিনি বলেন, তার সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আলোচনার মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে উত্তম সম্পর্ক রক্ষা করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু আলোচনায় ভারতের কোনোই আগ্রহ নেই। তাদের একটিই আগ্রহ তাহলো, পাকিস্তানকে শিক্ষা দেয়া। তাদের অন্তর ঘৃণায় ভরা।

পাক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে লক্ষ্য করে বলেন, “কোনো ভ্রান্ত ধারণার ওপর থাকবেন না। আপনি একটি আইন পাস করেছেন বলে মনে করবেন না কাশ্মীরিরা পরাজয় বরণ করে নিয়েছে বরং তা লড়াইকে আরো কঠোর করেছে। তাদের ভয় চলে গেছে। আমরা দেখেছি, তারা রাস্তায় বেরিয়ে এসেছেন। শুধু সাহসী জাতিই এভাবে বেরিয়ে আসতে পারে। মোদি, আপনি কাশ্মীরিদের ক্রীতদাস বানাতে পারেন না। পাকিস্তানকে শিক্ষা দেয়ার জন্য আজাদ কাশ্মীর নিয়ে পরিকল্পনা রয়েছে আপনার। কিন্তু প্রস্তুত হোন। আমি আবার বলছি, আপনার প্রতিটি পদক্ষেপের পাল্টা জবাব দেব আমরা। এখন সময় এসেছে আপনাকে শিক্ষা দেয়ার।”

Leave A Reply

Your email address will not be published.