৫,৩০০ কোটি ব্যারেল তেলসমৃদ্ধ খনি আবিষ্কার করল ইরান!

0 449

৫,৩০০ কোটি ব্যারেল তেলসমৃদ্ধ একটি খনি আবিষ্কারের দাবি করেছে ইরান। রোববার নতুন তেলক্ষেত্র আবিষ্কারের ঘোষণা দেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি।

খনিটিতে পাঁচ হাজার ৩০০ কোটি ব্যারেল তেল রয়েছে বলে জানান তিনি। কিন্তু একদিন পরই দেশটির জ্বালানিমন্ত্রী তেলের পরিমাণের নতুন হিসেব তুলে ধরেন।

সোমবার তেহরানে এক সংবাদ সম্মেলনে ইরানি জ্বালানিমন্ত্রী বাইজান নামদার জাঙ্গানেহ জানান, খনিটিতে ৫ হাজার ৩০০ কোটি ব্যারেল তেলের মজুদ রয়েছে।

তবে প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণে এর মধ্যে মাত্র ২২ ২২০ কোটি ব্যারেল তেল উত্তোলন সম্ভব। খবর এএফপির।

রোববার ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় ইয়ায্দ শহরে এক সমাবেশে তেলের খনি আবিষ্কারের বিষয়টি তুলে ধরেন প্রেসিডেন্ট রুহানি।

তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শত্রুতা রাখলেও আমরা এই আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছি। কোনো শত্রুই ইরানের উন্নতি রুখে দিতে পারবে না। খনিটি আমাদের অন্যতম বৃহত্তম একটি খনি।

এটি এতটাই বিশাল যে বোস্তান থেকে শুরু করে উমিদেহ পর্যন্ত এটার বিস্তৃতি। এটি প্রায় ২,৪০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে অবস্থিত। খনি ভূগর্ভে প্রায় ৮০ মিটার পর্যন্ত গভীর।

বিশ্বের তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষস্থানীয় ইরানের অর্থনীতি তেলের ওপর নির্ভরশীল। দেশটির সবচেয়ে বড় তেলক্ষেত্র আহভাজে। এতে ছয় হাজার ৫০০ কোটি ব্যারেল তেল মজুদ আছে।

কিন্তু ইরানের সঙ্গে ছয় বিশ্বশক্তির করা ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি থেকে গত বছর যুক্তরাষ্ট্র সরে গিয়ে দেশটির ওপর নানা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

বিশেষ করে ইরানের তেল রফতানির ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশটির তেল বিক্রি অনেক কমে গেছে। এর কারণ, যেসব দেশ ইরানের তেল কিনবে তাদের ওপরও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

তেহরানের দাবি, ইরান তেল উত্তোলন মাত্র ১ শতাংশ বাড়ালেই তাদের আয় ৩,২০০ কোটি মার্কিন ডলার বেড়ে যাবে। ইরানের অর্থনীতি মূলত তেলনির্ভর। ফলে নতুন এই তেলের খনি দেশের অর্থনীতিতে নয়া শক্তির সঞ্চার করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

খুজেস্তান প্রদেশে আবিষ্কৃত নতুন খনিটি সেদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেলের খনি হতে চলেছে। এখানে যে পরিমাণ তেল মজুদ রয়েছে বলে তথ্য মিলেছে তাতে ইরানের মোট সঞ্চিত তৈল ভাণ্ডার এক ধাক্কায় এক-তৃতীয়াংশ বৃদ্ধি পাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.