ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, ইহুদিবাদী ইসরাইল যদি আবার অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সামরিক আগ্রাসন চালায় তাহলে গাজা থেকে ইসরাইল অভিমুখে ক্ষেপণাস্ত্র-বৃষ্টিবর্ষণ হবে।
খান ইউনুস শহরে এক সমাবেশে দেয়া বক্তৃতায় এসব কথা বলেছেন গাজার হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার। তিনি বলেন, “যদি পরাজিত ইসরাইলের সেনারা গাজায় প্রবেশ করে তাহলে আমরা তাদেরকে চুরমার করে দেব। আমরা কী বলছি তা জেনেবুঝেই বলছি এবং যা বলছি তার অর্থ রয়েছে, আমরা কোনো কৌতুক করছি না।”
ইয়াহিয়া সিনওয়ার বলেন, “ইসরাইল যদি গাজায় হামলা চালায় তাহলে আমরা ইসরাইলের বিভিন্ন শহরে একসঙ্গে শত শত ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করব।”
গত বছরের আগস্ট মাসে গাজার দক্ষিণে ইসরাইলি সেনাদের চালানো অভিযান ব্যর্থ করে দেয়ার প্রশংসা করেন সিনওয়ার। ওই ঘটনায় হামাসের অন্যতম কমান্ডার আবু সালাহ শাহাদাত বরণ করেন তবে ইসরাইলের তিন কমান্ডো সেনা আহত হয়। পরে হামাসের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরাইলের একটি সেনাভর্তি বাস ধ্বংস হয়েছিল।
উল্লেখ্য যে, বিগত কয়েক বছর ধরে ইরানের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় হামাস নিজেদের সামরিক শক্তিতে পূর্বের যেকোন সময়ের চেয়ে সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী হয়েছে। তারা ইরানের আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সামরিক সহযোগিতা ও পরামর্শে ক্ষেপণাস্ত্র ভান্ডার সমৃদ্ধ করেছে।
ইসরাইলের জাতীয় সংবাদ মধ্যম ‘দ্য টাইমস অব ইসরাইল’র রিপোর্ট অনুযায়ী- ইরান ইসরাইলকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা থেকে প্রতি মাসে হামাসকে অন্তত ৩০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেয়। হামাসের সামরিক শক্তি সমৃদ্ধ করতে তারা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে এবং সামরিক প্রযুক্তিগত তথ্যপ্রযুক্তি-পরামর্শ দিয়ে নিরবিচ্ছিন্নভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। হামাস ও ইরানের নীতিনির্ধারকদের মধ্যে আলোচনা ও পরামর্শ সফর এখন নিয়মিত বিষয় হয়ে গেছে।
‘দ্য টাইমস অব ইসরাইল’র তথ্য অনুযায়ী- হামাস পূর্বের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন অধিক শক্তিশালী ও অস্ত্রে সমৃদ্ধ এবং তাদের প্রতিরোধ শক্তিও ইসরাইল সরকারের যথেষ্ট মাথাব্যথার কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে। পত্রিকাটি লেবাননের হিজবুল্লাহর সামরিক শক্তি ও সামর্থের কথাও রিপোর্টে উল্লেখ করে।