পুরুষ অভিভাবক ছাড়াই বিদেশ ভ্রমণে যেতে পারবেন সৌদি নারীরা

0 417

দীর্ঘ ৬ দশকেরও বেশি সময় নিষেধাজ্ঞার পর গত বছরের ২৪ জুন থেকে গাড়ি চালানোর অনুমতি পান সৌদি আরবের নারীরা।

এর পর থেকে কোথাও ভ্রমণে গেলে গাড়ির চালকের আসনে বসতে পারলেও সঙ্গে পুরুষ অভিভাবক রাখতে হতো তাদের। অর্থাৎ বিদেশ ভ্রমণে পুরুষ অভিভাবক ছাড়া পাসপোর্ট মিলত না সৌদি নারীদের।

এবার সৌদি নারীদের সেই স্বাধীনতাও দিল দেশটির সরকার।

শুক্রবার এক রাজকীয় ফরমানে বলা হয়েছে, এখন থেকে সৌদি আরবের নারীরা কোনো পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি ছাড়াই দেশের বাইরে ভ্রমণ করতে পারবেন।

নতুন ঘোষিত এ আইনে বলা হয়েছে, ২১ বছরের বেশি বয়সী যেকোনো নারী এখন থেকে কোনো পুরুষ অভিভাবকের অনুমোদন ছাড়াই পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

এ আইনের ফলে বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে সৌদি নারীরা পুরুষের সমকক্ষ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এই আইন কার্যকর হওয়ার আগ পর্যন্ত পাসপোর্ট বানানোসহ দেশের বাইরে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সৌদি নারীদের জন্য স্বামী, পিতা বা যেকোনো পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক ছিল।

রাজকীয় ওই ফরমানে শুধু ভ্রমণ বিষয়েই নারীদের স্বাধীনতা দেয়া হয়নি, আরও বেশ কয়েকটি বিষয়েও অধিকার দেয়া হয়েছে তাদের।

ফরমানে আরও বলা হয়েছে, এখন থেকে নারীরা তাদের শিশুর জন্মের নিবন্ধন করাতে পারবেন। এ ছাড়া নিজেরা বিয়ে করা বা বিয়ে বিচ্ছেদের অনুমোদন দিতে পারবেন। নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগও বাড়ানো হয়েছে ওই ফরমানে।

ওই আইনে স্পষ্টতই বলা হয়েছে, সব নাগরিকের কর্মসংস্থানের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে এবং লিঙ্গ, বয়স বা শারীরিক অক্ষমতার ভিত্তিতে তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের বৈষম্য তৈরি করার সুযোগ নেই।

গেল দুই বছর ধরে সৌদি নারীদের ওপর চলতে থাকা বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হচ্ছে। সৌদি আরবের শ্রমবাজারে নারীদের অংশগ্রহণের হার ২২ থেকে ৩০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে বলেই আইনে এসব সংস্কার করা হচ্ছে।

সৌদিতে নারী অধিকার নিয়ে বরাবরই সোচ্চার ছিল বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা।

সৌদি আরবে নারীদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করা হয় বলে অনেক সময় দাবি করে এসেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো।

Leave A Reply

Your email address will not be published.