কাউকে ‘কাফের’ ফতুয়া দেওয়ার অধিকার কেবল আল্লাহ্‌-রাসুলের: সৌদির কাউন্সিল অব সিনিয়র স্কলারস

কাউকে কাফের বলার ক্ষেত্রে আল্লাহর রাসুল (সাঃ) কড়া সতর্কবাণী উচ্চারণ করে বলেছেন, "কোনো ব্যক্তি অপর কোনো ব্যক্তিকে সীমালঙ্ঘনকারী (ফিসক) বা (কাফের) বলে অভিযুক্ত করবে না এবং তার অভিযোগের দাবি অনুযায়ী সে (যাকে কাফের বলা হবে) যদি অনুরূপ না হয়, তাহলে তার দায় তাকেই বহন করতে হবে (যে বলবে সে কাফের হয়ে যাবে)।’

0 1,421

একজন মুসলমানকে খুব সহজেই কাফের মুরতাদ বলে দেয়ার প্রবণতা বাংলাদেশে খুব বেশি লক্ষ্য করা যায়। বেশিরভাগ সময়ই এর পেছনে যথাযথ কারণ বা দলিলও থাকে না। সৌদি আরবের শ্রেষ্ঠ আলেমদের নিয়ে গঠিত কাউন্সিল অব সিনিয়র স্কলারস সম্প্রতি এক বিবৃতিতে এই প্রবণতার বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছে। তারা বলেছেন, ‘নিজেকে কাফের হিসেবে ঘোষণা করেননি এমন কাউকে কাফের ঘোষণা করতে পারেন শুধু আল্লাহ বা তার রাসুল।’

কাউন্সিল অব সিনিয়র স্কলারস, সৌদির বৈঠক।

আরব নিউজের রিপোর্ট অনুযায়ী কাউন্সিলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘কাউকে কাফের ঘোষণা দেয়ার অধিকার সাধারণ মানুষের নেই। এটা আল্লাহ এবং তার রাসুলের অধিকার। মানুষকে কাফের ঘোষণা দেয়াকে গর্হিত কাজ আখ্যা দিয়ে বলা হয়েছে, এটা খুন খারাবির সম্ভাবনা তৈরি করে। এ কারণে সম্পদ বণ্টন করার অধিকার সৃষ্টি হয় এবং বিয়ে ভেঙ্গে যায়।’

কাউন্সিল অব সিনিয়র স্কলারসের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়,’সরকার এবং শাসককে কাফের বলা আরও বিপদজনক। কারণ এর কারণে উগ্রপন্থার দিকে মানুষকে ঠেলে দেয়া হয়। সমাজে অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে।’

সৌদি আলেমরা বলেছেন,’অন্যকে কাফের আখ্যা দেয়ার এই প্রবণতা গোমরাহি এবং ইসলামে এর কোনো স্থান নেই।

Leave A Reply

Your email address will not be published.