আজ শুক্রবার (০৬ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। আসন্ন ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন মাসব্যাপী ‘জনগণের ক্ষমতায়ন দিবস’ হিসেবে উদযাপন করবে ঢাকা মহানগর যুবলীগ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমরা যারা রাজনীতিবিদ তারা সবসময় চিন্তা করি আগামী বছর নির্বাচন বিষয়ে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী একজন সফল (স্টেটম্যান) রাষ্ট্র পরিচালক, যিনি আগামী প্রজন্মের কী হবে সেটা নিয়ে ভাবেন এবং সে অনুযায়ী কাজ করেন।’
কর্মীদের প্রতি শেখ হাসিনার ভালোবাসার কথা বলতে গিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কর্মীদের প্রতি শেখ হাসিনার যে মমতা এবং ভালোবাসা তা অতুলনীয়। আমি অসুস্থ থাকা অবস্থায় আমার জন্য শেখ হাসিনা যা করেছেন তা আমার মার থেকে কোনো অংশেই কম নয়। তিনি তার কর্মীদের মমতাময়ী মায়ের মতো ভালোবাসেন।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন,’এক সময় যুব রাজনীতি বলতে বোঝাতো অস্ত্রবাজি এবং সন্ত্রাসী সংগঠন।’ বাংলাদেশ যুবলীগের সভাপতি ওমর ফারুক প্রমাণ করেছেন যুব রাজনীতি মানে সন্ত্রাসী কোনো সংগঠন নয়। যুব রাজনীতি মানে হচ্ছে পড়াশোনার মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করে রাজনীতি করা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে সড়ক পরিবহন এবং সেতুমন্ত্রী বলেন, আজকে শেখ হাসিনা নিজেকেও অতিক্রম করেছেন। তার মেধা, সততা ও অক্লান্ত পরিশ্রমে তিনি আওয়ামী লীগকেও অতিক্রম করে গেছেন। দেশের মানুষের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা ও সম্মান তাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। বিশ্বব্যাপী তার যে গ্রহণযোগ্যতা তার ধারে কাছেও আমাদের কেউ নেই।
‘বাংলাদেশে এখন যে ম্যাজিক্যাল উন্নয়ন ও অগ্রগতি হচ্ছে, এই ম্যাজিক্যাল উন্নয়নের পেছনে রয়েছে শেখ হাসিনার ম্যাজিক্যাল লিডারশিপ।’তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়ে গেছেন। আর শেখ হাসিনা সেই দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে গেছেন তার নেতৃত্বে। শেখ হাসিনা জেগে থাকেন বলেই বাংলাদেশের মানুষ নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারে।
বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, বিএনপি যতই চেঁচামেচি করুক, আজ এটাই বাস্তব যে উন্নয়নে ও অগ্রগতিতে শেখ হাসিনা অপ্রতিরোধ্য। বর্তমান বাংলাদেশের অভাবনীয় অগ্রগতি বিরোধী রাজনীতিকদের সংকটে ফেলে দিয়েছে।
‘বিএনপি নেতিবাচক রাজনীতি করে। তাই তাদের এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসার কোনো উপায় নেই। বিএনপি দেশের জনগণের ওপর আস্থা হারিয়ে বিদেশিদের কাছে নালিশ করছে এবং নিজ দেশেরই বদনাম করছে,’ যোগ করেন তিনি।
জাতীয় পার্টির সংকট নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এরশাদ উত্তর জাতীয় পার্টিতে যে সংকট চলছে তা জাতীয় পার্টির অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এ বিষয়ে সরকারের কিছুই করার নেই। আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে বিরোধী দলের আসনে যারা বসবে, স্পিকার নিয়ম মতই তাদের স্বীকৃতি দেবেন। জাতীয় পার্টির কারো প্রতি আমাদের কোনো পক্ষপাত নেই।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন সম্রাট। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ।