ইহুদিবাদি ইসরাইলের কারাগারে চিকিৎসা-সেবায় উদাসীনতার কারণে মারা গেছেন আরও এক ফিলিস্তিনি বন্দি। ক্যান্সার-আক্রান্ত বাসাম আস সাইয়াহ্ গতকাল (রোববার) মারা যান বলে ফিলিস্তিনের কারাবন্দি বিষয়ক কমিশন জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনের সংগ্রামী দল হামাসের রাজনৈতিক দপ্তরের প্রধান ইসমাইল হানিয়া এই মৃত্যুর জন্য ইসরাইলকে দায়ী করেছেন। সংগ্রামী দল ফিলিস্তিনি জিহাদও এর নিন্দা জানিয়েছে।
ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ ফিলিস্তিনি বন্দিদের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার ব্যাপারে উদাসীনতা দেখিয়ে আসছে এবং বন্দিদের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছে বলে এই কমিশন উল্লেখ করেছে। এই কমিশন ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে বর্ণবাদী আচরণসহ ইসরাইলের নানা অপরাধযজ্ঞের বিষয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
৪৭ বছর বয়স্ক আস সাইয়াহ্ ছিলেন পশ্চিমতীরের নাবলুস এলাকার অধিবাসী। ২০১৫ সালের ১০ আগস্ট তাকে বন্দি করে দখলদার ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের সেনারা। আস সাইয়াহ্ হাড়ের ও রক্তের ক্যান্সারে আক্রান্ত বলে যথাক্রমে ২০১১ ও ২০১৩ সনের মেডিক্যাল রিপোর্টে ধরা পড়েছিল।
তার স্ত্রী মোনা হাইয়েস বলেছেন, গত দুই বছর ধরে তাকে কারবন্দি স্বামীকে দেখতে দেয়ার সুযোগ দেয়নি ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ। মোনা নিজেও ইসরাইলি কারাগারে বন্দি ছিলেন।
আটক ফিলিস্তিনি বন্দি আস সাইয়াহ্-কে বিদেশে নিয়ে বা ফিলিস্তিনে বিশেষভাবে চিকিৎসা সুবিধা দেয়ার জন্য মুক্তির আবেদন জানিয়ে ইসরাইলি আদালতে আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু ওই আবেদন নাকচ করে দেয় ইসরাইলি আদালত।
ইসরাইলি কারাগারে সুচিকিৎসার অভাবে গত কয়েক দশকে মারা গেছে শত শত ফিলিস্তিনি বন্দি। বর্তমানে প্রায় ৭০০ ফিলিস্তিনি বন্দি ইসরাইলি কারাগারে মারাত্মকভাবে অসুস্থ ও তাদের অন্তত ১৬০ জনের অতি জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা দরকার বলে জানা গেছে।
ইসরাইলি কারাগারগুলোতে প্রায় ৬ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দি রয়েছে। তাদের মধ্যে ৬২ জন নারী ও ৩০০ জন শিশু এবং কিশোর।
সূত্র: পার্সটুডে