মানুষ আসলে অর্থের জন্য অন্ধ হয়ে যায়: শেখ হাসিনা

0 449

দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং দুর্নীতি দমনে তার সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের উল্লেখ করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যে ঘুষ খাবে সেই কেবল অপরাধী নয়, যে দেবে সেও অপরাধী। এই বিষয়টা মাথায় রেখেই পদক্ষেপ নিলে এবং এ বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ হলে অনেক কাজ আমরা দ্রুত করতে পারব।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ (রোববার) সকালে তার তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে প্রদত্ত ভাষণে একথা বলেন।

সম্পদের প্রতি মানুষের লোভের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সম্পদের তো সীমা আছে। মানুষ আসলে অর্থের জন্য অন্ধ হয়ে যায় কিন্তু এটা ভুলে যায় যে মরে গেলে কিছু সাথে নেওয়া যাবে না, কবরে একাই যেতে হবে। যা রেখে যাবে সেটা আর কোনোদিন কাজে লাগবে না। আর যদি বেশি রেখে যায় তবে ছেলে-মেয়ের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়। ওই নিয়ে মারামারি কাটাকাটি শুরু হয়ে যাবে। এখন যেটা যথেষ্ট দেখা যায়।’

সরকারের দুর্নীতি দমন কমিশন সক্রিয় থাকার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী উপার্জন অনুযায়ী ট্যাক্স প্রদানের বিষয়টিও লক্ষ্য রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

তিনি বলেন, ‘কে কত ট্যাক্স দিল আর কে কত খরচ করল তারও একটা হিসেবে নেওয়া দরকার।’

প্রধানমন্ত্রী এ সময় যথাযথভাবে বাজেট বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার জন্য মন্ত্রণালয়গুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রকল্প গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বাজেট দিয়েছি এবং উন্নয়ন প্রকল্প নিয়েছি। কিন্তু তা বাস্তবায়নে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়কে প্রকল্প অনুযায়ী তাদের কাজের অগ্রাধিকার ঠিক করতে হবে।’

তিনি উল্লেখ করেন, প্রাকৃতিক নিয়মেই বাংলাদেশে বন্যা হবে এবং এ দেশের মানুষকে প্রকৃতির সঙ্গেই বসবাস করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বন্যার পরই বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজের গতি বাড়াতে হবে যাতে এসব প্রকল্প সঠিক সময়ে সম্পন্ন হয় এবং দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়।

দারিদ্র্য বিমোচনের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে আরো সক্রিয় দায়িত্ব পালনের আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকটি এলাকায় একটু খোঁজ নেয়া দরকার আমরা সতর্ক করে দিয়েছি কোন এলাকায় কেউ গৃহহীন থাকবে না, কেউ ভিক্ষা করবে না। যেখানেই গৃহহীন থাকবে তাদের একটা ঘর করে দিতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী এ সময় তাঁর ‘ঘরে ফেরা’ কর্মসূচি পুনরায় চালুর ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘ যারা ঘরে ফিরে যেতে চায় তাদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ হিসেবে আমরা বস্তিবাসীর উপর সার্ভে করেছিলাম। এই কাজগুলো আবার করতে হবে।’

তিনি ‘শান্তি নিবাস’ এবং ‘অবসর’ কর্মসূচিও পুনরায় চালুর কথা বলেন। তাঁর সরকার প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ১ ভাগে উন্নীত করেছে এবং এরপর আরো যত উপরে ওঠার চেষ্টা করা হবে অর্থনীতির নিয়ম অনুযায়ীই তা দুরুহ হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এ সময় কাজের প্রতি সকলকে যত্নবান হওয়ার পরামর্শ দেন।#

পার্সটুডে

Leave A Reply

Your email address will not be published.