পাকিস্তানকে ১২৫ মিলিয়ন ডলার সামরিক সহযোগিতা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন্তায় ভারত?

0 480

এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের উন্নত প্রযুক্তির সহায়তা হিসেবে পাকিস্তানকে ১২৫ মিলিয়ন ডলার সামরিক সহযোগিতা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে এ তথ্য জানায়।

ওয়াশিংটনে ইমরান খানের সরকারি সফর শেষ করে আসার ৪ দিন পরে এ ঘোষণা দেয়া হয়।

পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন পিটিভি নিউজ জানায়,যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাকিস্তানকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের প্রযুক্তি সহযোগিতায় ১২৫ মিলিয়ন ডলার দেবে।

পাকিস্তান সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে ব্যর্থ এমন অভিযোগ এনে গত বছর নিরাপত্তা সহযোগিতার ১ বিলিয়ন অর্থ দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র।পাকিস্তান সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের প্রযুক্তিগত সহযোগিতার জন্য অনুরোধ করেছিল।

আফগানিস্তানের সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয়ের অভিযোগে ২০১৮ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাক-সেনাদের সামরিক যন্ত্রপাতি হস্তান্তর বাতিল করে দেয়। তবে অভিযোগটি প্রথম থেকেই ইসলামাবাদ অস্বীকার করে আসছে।

এর আগে গত সোমবার হোয়াইট হাউসে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে আলোচনার পর সাংবাদিকদের বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের কাজ অনেক অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

পরে ইমরান খান এক টুইট বার্তায় ওয়াশিংটনে আথিয়েতার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান।

আফগানিস্তানে শান্তি প্রক্রিয়ায় গতি আনতে গিয়ে আমেরিকার পাক-নির্ভরতা বাড়ছে। তাতে আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ছে নয়াদিল্লি। এ নিয়ে কিছুটা হলেও টেনশনে পড়ে গেছে মোদি সরকার।

কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা দেখছেন, ফ্রান্সে আগামী আগস্টে জি-৭ রাষ্ট্রগুলোর `আউটরিচ সেশন’-এ যোগ দিতে সেখানে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ ছাড়া, সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ সম্মেলনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে যাচ্ছেন মোদি।

দুটি বহুপাক্ষিক বৈঠকে উপস্থিত থাকছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারত চেষ্টা করেছিল, দুটি সম্মেলনেই ট্রাম্পের সঙ্গে মোদির পার্শ্ববৈঠক করানোর।

কিন্তু জি ৭-এর পার্শ্ববৈঠকের জন্য সময় চেয়েও ট্রাম্প প্রশাসনের কাছ থেকে এখনও পর্যন্ত ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি।

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকেও মোদি-ট্রাম্প বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা এখন পর্যন্ত খুবই ক্ষীণ বলে মনে করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় দিল্লির কূটনীতিকদের একাংশে আপাতত এ ধারণা তৈরি হয়েছে।

কূটনীতিক বিশেষজ্ঞদের অনেকে এও মনে করছেন,অদূর ভবিষ্যতে ভারত-মার্কিন সম্পর্কে অগ্রগতি হলে- তা হবে বাণিজ্য ক্ষেত্রে।

কিন্তু কৌশলগত বিষয়ে আমেরিকাকে কতটা পাশে পাওয়া যাবে,তা নিয়ে সংশয় থাকছে

Leave A Reply

Your email address will not be published.