তিন শ্রেণীর মানুষের উপর জান্নাত হারাম অর্থ্যাৎ তারা কখনোই জান্নাতে যাবে না!

সহিহ হাদিসের আলোকে একথা স্বীকৃত যে, রাসুল [সা.] বলেছেন, “তিন শ্রেণীর মানুষের উপর জান্নাত হারাম অর্থ্যাত এই তিন শ্রেণীর মানুষ কখনোই জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।”

★ প্রথম শ্রেণী হলো- যারা কোনো প্রকার নেশাদার দ্রব্য পান বা গ্রহণ করে। মদখোর, বিড়িখোর, গাজাখোর, ফেনসিডিলখোর, ইয়ারাখোর, বাবাখোর, হিরোইনখোর, আফিমখোর, আলাখোর, জদ্দাখোর- যে কোনো প্রকার নেশাই গ্রহণ করেন না কেন; এইসব খেলে দেহ অপবিত্র হয়ে যাবে আর এই অপবিত্র দেহ কখনো জান্নাতে প্রবেশ করবে না।
সুতরাং এইসব নেশাদ্রব্য গ্রহণ করা থেকে সকল মুসলমানদের বিরত থাকা উচিত। যারা নেশা গ্রহণ করেন তাদের আজকেই এবং এখনই এই সকল নেশাদ্রব্য ছেড়ে তাওবা করা উচিত।

★ দ্বিতীয় শ্রেণী হলো- যে বা যারা পিতা-মাতার অবাধ্য। এই শ্রেণীভূক্ত মানুষরাও জান্নাতে যাবে না। জান্নাত তাদের উপর হারাম। মৃত্যু পর্যন্ত পিতা-মাতার দেখভাল করতেই হবে। পিতা-মাতাকে কোনো কারণেই ত্যাগ করা যাবে না। পিতা-মাতার খেদমত করতেই হবে। রাসুল [সা.] পরিস্কারভাবে বলেছেন, পিতা-মাতার অবাদ্ধ সন্তান জান্নাতে প্রবেশ করবে না। আল্লাহতালা আমাদের কাউকেই পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান না করুন।

★ তৃতীয় শ্রেণী হলো- দাইউস। দাইউস ঐ ব্যক্তি যে তার পরিবারে পর্দা প্রথা চালু রাখেনি। পরিবারের সদ্যসের মাঝে বেপর্দা, বেহায়াপনা ছি কিন্তু সে তাতে বাঁধা প্রদান করেনি। পরিবারের কর্তা হিসেবে বেপর্দা-বেহায়াপনা বন্ধ না করার জন্য এই শাস্তি পাবে সে। আপনি যত বড় ইবাদতকারীই হোন না কেন, মক্কার মাটিতে যতবারই হজ্ব পালনে ঘুরে আসুন না কেন, পাঞ্জাবী আপনার যতই সুন্নতি-শক্তিশালী এ সুন্দর হোক না কেন- পরিবারে যদি পর্দা না থাকে রাসুল (সা.) –এর হাদিস অনুযায়ী আপনি জাহান্নামি। জান্নাত এই শ্রেণীর মানুষের জন্য হারাম।

[মুসনাদে আহমাদ: ২/৬৯]

Comments (0)
Add Comment